আজ বৃহস্পতিবার, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এবারের বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে!

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে এবার উজানের ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা ও তিস্তা অববাহিকায় পানির উচ্চতা ৭৫ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এদিকে ১৯ আগস্টের মধ্যে ওই পানি বাংলাদেশের নদ-নদীগুলো দিয়ে প্রবেশ করতে পারে বলে আশংকা করা যাচ্ছে। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ বছর দেশের সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।

সাম্প্রতিক বন্যার পূর্বাভাসবিষয়ক দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে এ পূর্বাভাস দিয়েছে।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় (ইউএনআরসিও) ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ গবেষণাকেন্দ্র (জেআরসি) বৈশ্বিক বন্যা পরিস্থিতিবিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

১০ আগস্ট সংস্থাটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত, চীন, ভুটান ও নেপালের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার অঞ্চলগুলোতে গত শুক্রবার থেকে পানি বাড়ছে এবং ১৯ আগস্ট পর্যন্ত এই পানি ভাটির দিকে প্রবাহিত হতে পারে। ২০০ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকার উজানে বন্যার মাত্রা সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে।

আবার দ্য ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টসের (ইসিএমডব্লিউএফ) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে হিমালয়ের দক্ষিণাঞ্চলে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে করে ব্রহ্মপুত্রের ভারত ও বাংলাদেশ অংশে পানি বাড়বে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, এ বছর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের কবলে পড়ে চীন ও ভারতে ইতিমধ্যে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়ে গেছে। ওই দুই দেশের ভেতর দিয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা নদীর পানি স্মরণাতীত কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশে ১৯৮৮ সালের চেয়ে বড় ও ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। এ জন্য তিনি সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেন।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ১৪ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে বন্যার পানি কমলেও রংপুর বিভাগের অন্য ছয় জেলায় বন্যার পানি আরও বেড়েছে। এ পর্যন্ত দিনাজপুরে বন্যার পানিতে ডুবে নারী-শিশুসহ ১৫ জনের মৃত্যু।

সূত্র: প্রথম আলো